বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের ১৮৩ বস্তা চাল এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করার ঘটনায় দায়ের কৃত মামলায় অবশেষে চেয়ারম্যান নূরে আলম গ্রেফতার হয়েছে। এর আগে একইদিন চাল মাপে কম দেওয়ার সময় দুই ইউপি সদস্যকে হাতেনাতে ধরে । পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের কারাদ- প্রদান করা হয়। এ খবর পেয়ে পালিয়ে যায় চেয়ারম্যান নূরে আলম। তবে চাল চুরির ঘটনায় নূরে আলম ও তার ভাইসহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই সকল আসামি আত্মগোপনে ছিল। এ কারণে কোন আসামি গ্রেফতারের সফলতা পায়নি পুলিশও। তবে চাল চুরির অপরাধে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
অবশেষে আজ মঙ্গলবার থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। যদিও তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করেছেন বলে দাবি একটি বিশ্বস্ত সূত্রের। এমনকি মিডিয়ার ক্যামেরার অন্তরালে থাকতে গ্রেফতারকৃত চাল চোর চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীকে গোপনেই আদালতে সোপর্দ করে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ। তবে ওসি মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আজ ভোর ৬ টার দিকে কেদারপুর ইউনিয়নের স্টীমারঘাট বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত,গত ১৬ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়ি থেকে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের ১৮৩ বস্তা চাল উদ্ধার করেন র্যাব-৮ এর সদস্যরা। এ ঘটনায় কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলমের বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষ থেকে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
পিরোজপুরে নতুন করে পুলিশ-সাংবাদিকসহ ২১ জনের করোনা শনাক্ত
পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আরো ২১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৭ জন। জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. হাসানাত ইউসুফ জাকী মঙ্গলবার (১৬ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনা আক্রান্ত হিসেবে জেলায় এক দিনে সর্বোচ্চ ২১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে জেলার মঠবাড়িয়ায় ৮ জন, ভান্ডারিয়ায় ৯, সদর উপজেলায় ৩ ও নেছারাবাদে ১ জন। মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলী হাসান জানান, উপজেলায় নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ জন। এদের মধ্যে থানা পাড়ার একই পরিবারের ৪ জন রয়েছে। এছাড়া উপজেলার সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজন (৪৪), গুলিশাখালী ইউনিয়নের হোতাখালী গ্রামে একজন (৩৮), উপজেলার পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন (৩৪) ও পার্শ্ববর্তী বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার খোলপটুয়া গ্রামের একজন (৩৪) নিয়ে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। উপজেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জন। তবে এদের মধ্যে ১৮ জন সুস্থ হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরছেন। জেলার ভান্ডারিয়ায় উপজেলায় এক এএসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য, বরিশাল থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত এক সাংবাদিক (৪৪), ভান্ডারিয়া পৌর শহরের এক ব্যবসায়ী দম্পত্তি ও এক ইমামসহ ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডাক্তার এইচ এম জহিরুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, করোনার ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে আমাদের উপজেলাসহ মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম চললেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
Leave a Reply